সম্পাদকীয়
অভিরূপ সেন
বিষয় এখন শুধুমাত্র বস্তু। অ্যানাদার কমোডিটি। তাই উপায় নেই। অতএব
ব্যালকনি থেকে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, তাই নিয়েই লিখছি
মানে এক ফালি পিচের রাস্তা , ল্যাম্পপোস্ট, কেবলের তার,
খন্ড গোপাল মিত্তির , অখন্ড হাবুল দত্ত
দুঃখী রিটেল , খুচরো সংশয় , পাঁচিলে বেড়াল
সবাই আপাত ছন্দে আছে
আর ছন্দে থাকায় , বিষয় হয়ে উঠছে না
আর যা দেখা যাচ্ছে না , দর্শনের সেখানেই শুরু
আর শুরু নাটকীয়তার।
যত গোলমালের শুরুয়াত ও এখানেই
ধরা যাক হাবুল দত্তর ছেলের কথা
‘অ্যানার্কিস্ট নোট বুক’ লিখতে বসেছিল
চাঁদ খসে পড়লো মাথায়
মৃত্যু হতে পারতো , হয়নি
যাবজ্জীবন হতে পারতো , হয়নি
এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকে।
যদিও কবিতা লেখার জন্য যা যা লাগে
যেমন সোরা , গন্ধক , লোহাচুর
এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারিদিকে
কিন্তু ছন্দে ফিরে আসায়
পাড়ার বোধিবৃক্ষ আবার শুনশান।
সুজাতা পায়েস হাতে ঠায় দাঁড়িয়েছিল একবছর
তারপর বেপাড়ায় বিয়ে হয়ে যায় ।
এইসব মায়োপিক ভিসন, দূরদর্শীতার অহং, আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খন্ডচিত্র নিয়েই “আগামীকাল”। সে”আসছি” বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে, যদিও জানে না
ঠিক কোথায় যাবে। “আগামীকাল” আসলে সেই পথ চলার রোজনামচা।